রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজম খা গ্রামে স্ত্রীকে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়ায় ছোট ভাই সাইদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রফিকুল ও তার স্ত্রী বুলবুলি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বেলা ৩টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আজম খাঁ গ্রামের রফিকুল ইসলামের সহোদর ছোট ভাইয়ের ঘরের মেঝে খুঁড়ে সাইদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত রফিকুল ওই গ্রামের হারেস উদ্দিনের ছেলে এবং নিহত সাইদুল একই গ্রামের অজিমুদ্দিনের ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই।
জানা গেছে, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি সাইদুল। পরে শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে রফিকুলের বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা খেতে রক্তমাখা কোদাল ও মাটিতে রক্তের দাগ দেখে পুলিশে সংবাদ দেয় স্থানীয়রা। পরে এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই রক্তের দাগ অনুসরণ করে রফিকুলের সহোদর ছোট ভাইয়ের ঘর থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা সাইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি। সাইদুলকে যেভাবে ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা নৃশংস বর্বরতা। এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করছি।
কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রফিকুলের স্ত্রী বুলবুলির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এছাড়াও জমির আইল নিয়েও বিরোধ ছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা পুলিশের কাউনিয়া পীরগাছা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ জানান, এ খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।