বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা।।ভোলা চরফ্যাশনে দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের মিলন মাঝি (৫৫) এর উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহ একই গ্রামের ১৬ জন অভিযুক্ত জোরপূর্বক হামলা, জমির ক্ষতিসাধন ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মিলন মাঝি ১৬ জনকে আসামী করে দুলারহাট থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলেন- নোমান (২৭), সিরাজুল ইসলাম (২৫), শামিম (২১), তামিম (১৭), আনোয়ার (৪৫), গিয়াস (১৯), নুরু (৫৫), আলমগীর (৫০), নুর হোসেন (৪৫), খোরশেদ (৬০), লতিফ (৫২), আকতার (২২), শরিফ (২৩), মিজান (২৫), হোসেন (৪৫), আল আমিন (৩২)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা পূর্ব থেকেই এলাকার প্রভাবশালী ও এলাকার বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এর আগে অভিযুক্তরা একই এলাকার আঃ মতিনের স্ত্রী তাসলিমা কে খুন জখমের হুমকি দিলে তারা নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এমপি ১৪৫/২০২২ নং মামলা দায়ের করেন। মিলন মাঝির সাথে অভিযুক্তদের জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলমান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৫টায় মিলন মাঝির বসত বাড়ির উত্তর পাশের বাগানে নোমান, সিরাজ, শামিম, তামিম, আনোয়ার, গিয়াস ও নুরু মিলে দা, ছেনী, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাগানে প্রবেশ করে জোরপূর্বক সুপারি গাছ থেকে ২৫ ভি সুপারি নিয়ে যায় ও ৪০টি সুপারি চারা উপরিয়ে ফেলে ধ্বংস করে। এ ঘটনায় আশেপাশের স্বাক্ষী াফেজা বেগম, তাছলিমা, নাহিদা ও রুনা দেখতে পেয়ে বাধা দিলে নোমান ও সিরাজ নাহিদার কাপড় চোপর টেনে হেচরে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। ঘটনাটি তখন মিলন মাঝি ও অন্যান্যরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানিয়ে রাখে। কিন্তু এতেও অভিযুক্তরা থেমে থাকেনি। পরবর্তীতে গত ১৭ অক্টোবর সকাল ৮টায় আবার সুপারি বাগানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সুপারি গাছ কাটতে আসে। স্থানীয় প্রতিবেশীরা বাধা দিলে তাদেরকে এলোপাথারি ভারী লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে যা মিলন মাঝির পিঠে লেগে মেরুদন্রে হাড় ফেটে জখম হয়। মিছির নামক একজন মিন মাঝিকে উদ্ধার করতে আসলে নোমান, সিরাজ, শামিম, তামিম, আনোয়ার, গিয়াস ও নুরু মিলে এলোপাথারি মিলন মাঝি ও মিছিরকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেরে থেতলে দিয়ে ফুলা জখম করে। নোমানের হাতে থাকা দা দিয়ে মিছিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা তালুতে কোপ দিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। মিলন মাঝির মেয়ে তানিয়া তার বাবাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও অভিযুক্ত শামিম গাবের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ফুলা জখম করে। তামিম ও আনোয়ার তার শরীরের কাপড় চোপর টানা হেচরা করে শ্লীলতাহানি করে। আশেপাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। তাদেরকে ভর্তি করে মিলন মাঝির পূত্র নাগর চফ্যাশন বাজারে দোকানের মালামাল ক্রয় করতে সদর রোডস্থ লাইট হাউজের সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামী গিয়াস, নোমান, শামিম, আল আমিন পথরোধ করে এলোপাথারি কিল ঘুষি লাথি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। অভিযুক্ত নোমান তাকে ধাক্কা দিয়ে পাকা রাস্তায় ফেলে হাতের কনুই রক্তাক্ত জখম করে। অভিযুক্ত শামিম ও হানিফ তার কাছে থাকা নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মিলন মাঝি বর্তমানে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।