বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মাদারীপুর জেলা কমিটি গঠন শশীভুশনে পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখলের পায়তার শিরোনামের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা।। মাদারীপুরে তিতু মুন্সির সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিকের উপর হামলা!থানায় অভিযোগ  মাদারীপুরে চারতলা নতুন ভবনের এক তলা শুভ উদ্বোধন ভূমি অফিস কতৃক আয়োজিত ভূমিসেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন। সভাপতি শামীম, সম্পাদক রনি বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন মহেশখালীতে শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিলের আহবায়ক কমিটি গঠন; রাহমত উল্লাহ আহবায়ক, আজিজুর রহমান সদস্য সচিব নুরুল করিম নির্বাচন সামনে রেখে নাশকতার চেষ্টা করলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে’–শাজাহান খান গলাচিপায় পুকুরে চাষকৃত মাছ ধরার অভিযোগ দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার অনলাইন নিউজ পোটাল উদ্বোধন

দাওয়াত না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ

দাওয়াত না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষকের নাম বিএম সোহেল। তিনি শরীয়তপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সোহাগ ব্যাপারী। তিনি ওই কলেজের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষক পরিষদ একটি জরুরি সভা করেছে। সভায় এ ঘটনায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ।

কলেজের শিক্ষকরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বুধবার কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতক সম্মান (অনার্স) চতুর্থবর্ষের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা নিতে সেখান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বিশেষজ্ঞ ও একটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষা শেষে কলেজের বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে ছাত্রলীগের নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি।

এরপর কেন ছাত্রলীগ নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি তা জানতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাশেল জমাদ্দার কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে নিয়ে বাংলা বিভাগে আসেন। তারা বাংলা বিভাগের প্রভাষক বি এম সোহেলকে এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে বলেন। তিনি তখন একটি অনলাইন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ছাত্রলীগ নেতাদের। তখন সোহাগ ব্যাপারী বি এম সোহেলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। অন্য শিক্ষকরা এসে বি এম সোহেলকে উদ্ধার করেন।

বি এম সোহেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার আকস্মিকতায় আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। বুঝতে পারছিলাম না কি করব। ছাত্রদের সামনে এমন অপমান-অপদস্থ করা হবে ভাবতেও পারিনি। বিষয়টি আমি অধ্যক্ষ স্যারকে ও শিক্ষক পরিষদের নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাই মেনে নেব। আমরা সাধারণ শিক্ষক, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে টিকতে পারব না। তাই এর বিচার হবে কি না তা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।’

অভিযোগের বিষয়ে সোহাগ ব্যাপারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের গুরুজন। তাদের সঙ্গে এমন আচরণ কেন করব? অভিযোগ সত্য নয়। আমি কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারি। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কঠোর হতে হয়েছে। এ কারণে কোনো শিক্ষক আমার প্রতি বিরক্ত থাকতে পারেন।’

কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ সংবাদমাধমকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে সে আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী না। তাই তাকে বহিষ্কারও করতে পারছি না। রাতে শিক্ষক পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর সংবাদমাধমকে বলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ ব্যাপারীর বিরুদ্ধে এক শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগের কথা শুনেছি। কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।



ফেসবুক
ব্রেকিং নিউজ