নজরুল ইসলাম আলীম //
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত আড়াইবেকী গ্রামের শামীম হাওলাদার ও তার স্ত্রী মোসাঃ মুক্তা বেগম বহুল আলোচিত ডাকাত মফলুর হাতে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, স্থানীয় আড়াইবেকী নিবাসী মৃত আলতাফ হাওলাদারের পুত্র মোঃ শামিম হাওলাদার ও মৃত মধু হাওলাদারের পুত্র মোঃ মফলু হাওলাদারদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলিয়া আসিতেছে যাহা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মফলুকে বারবার শালিশ মিমাংশার তাগিদ দিলে উহার জের ধরে অদ্য ১০ই এপ্রিল রবিবার সকাল ০৮ঃ০০ ঘটিকার সময় মোঃ শামিম হাওলাদার নাপিত বাড়ি আড়াইবেকী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে নিয়মিত কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকা ডাকাত মফলু হাওলাদার এবং তার ভাই হারুন হাওলাদার অবৈধভাবে পথরোধ করে শামীম হাওলাদারকে একা পেয়ে বেধড় মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করিলে শামীম প্রানে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার করিলে তার স্ত্রী মুক্তা বেগম তাকে বাঁচাবার জন্য আগাইয়া আসিলে ডাকাত মফলু হাওলাদার ও তার ভাই হারুন হাওলাদার মুক্তা বেগমকেও এলোপাথাড়ি লাথী ঘুশি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করিলে শামীম হাওলাদার স্থানীয় বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলনকে বিষয়টি অবহিত করিলে তিনি থানায় সাধারন ডায়েরি করার পরামর্শ দিলে শামিম হাওলাদার বাদী হয়ে ডাকাত মফলু হাওলাদার ও তার ভাই হারুন হালদার সহ মোসাঃ মোরশেদা বেগম সহ মোট তিন জনকে বিবাদী করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যাহার সাধারণ ডায়েরি নম্বর-৫৫২,তাং১০/০৪/২০২২ ইং। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শামীম হাওলাদার অভিযোগ করে আরো জানান,ডাকাত মফলু হাওলাদার তার ভাই হারুন হাওলাদারকে দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে শামীম হাওলাদার, মিলন হাওলাদার ও শাজাহান হাওলাদারেরকে বিবাদী করে পাল্টাপাল্টি বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিলে, বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন তাৎক্ষণিকভাবে শামীম হাওলাদারের দায়েরকৃত জিডি এবং হারুন হাওলাদারের দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য সরেজমিনে আসিলে শামীম হাওলাদারের মানিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ঘটনার সত্যতা পেলেও হারুন হাওলাদারের দায়েরকৃত অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান।