নজরুল ইসলাম আলীম//উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের মীরা বাড়ির রাহিমা বেগম নামের এক অসহায় গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য এক অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।সূত্র জানায় উপজেলার ভরপাশা গ্রামের দক্ষিণ দুধলমৌ গ্রামের মোঃ রফিক হাওলাদারের কন্যা মোসাঃ রাহিমা বেগমের সাথে কৃষ্ণকাঠী গ্রামের সৈয়দ হেমায়েত হোসেনের বখাটে এবং যৌতুকলোভী পুত্র সৈয়দ ইমরান হোসেনের সাথে গত ২০২১ সালের ২৯শে জানুয়ারী তিন লক্ষ টাকা কাবিন রেজিষ্ট্রেরী মূলে বিবাহ হয়।উক্ত বিবাহকালীন যৌতুক লোভী ইমরানের চাহিদা মোতাবেকে বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র, স্বর্নালংকার সহ ৪০/৫০ জন বরযাত্রীকে আপ্যায়ন করে যৌতুক লোভী ইমরানের নিকট তাহার পিতা তুলিয়া দেন।উক্ত রাহিমাকে ইমারানের ঘরে তুলে নেবার পর থেকেই যৌতুক পিপাসু ইমরানের পিতা সৈয়দ হেমায়েত হোসেন এবং তার মাতা মোসাঃ রেনু বেগমের ইন্ধনে পুত্র ইমরানের জন্য পালসার মোটরসাইকেল ক্রয় করার জন্য করিবে বলে তাহার পিতার বাড়ী হইতে মোটা অংকের যৌতুক দাবী করেন।কিন্তুু বিষয়টি রাহিমা অপারগতা প্রকাশ করিলে তার স্বামী,শশুর এবং শাশুড়ী যৌতুকের জন্য মারধর করিলে মোসাঃ রাহিমা বেগম তাহার স্বামী সৈয়দ ইমরান হোসেনকে আসামী করে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মোকাম বরিশাল বিজ্ঞা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে সি,আর-৩৮৩/২০২২(বাকেরগঞ্জ) মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামালা দায়ের করিলে তারা স্বামী তাহার নিকট যৌতুক সহ তাকে শারীরিক নির্যাতন করিবেনা বলে তাহার বাড়িতে বিয়ে নিয়ে আসেন। বাড়ীতে বাড়িতে নিয়ে আসার পরক্ষণেই তাহার স্বামী পূনরায় পালসার মোটরসাইকেল ক্রয় করার জন্য তাকে ৩ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে তিনি পূনরায় তা অপারগতা প্রকাশ করিলে তার স্বামী তাকে তাহার পিতৃালায় বেড়ানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়।তিনি বেড়ানো শেষে গত ১৫ ই অক্টোবর রোজ শনিবার দুপুর ০২ঃ০০ ঘটিকার সময় তার স্বামীর বাড়ীতে গেলে তার স্বামী ইমরান তার ঘরের সামনে দাড় করিয়ে তার দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না আনার কারনে তার স্বামী,শশুর-শাশুরী ঘরের দরজার লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা যখম করা সহ পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে দিলে পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। এ ব্যাপারে মোসাঃ রাহিমা বেগম তার স্বামী ইমরান সহ শশুর-শাশুরীকে আসামি করে গত ১৬ই অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তবে এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নি বলে মামলার বাদী জানান।