নজরুল ইসলাম আলীম //বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়ন পরিষদে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে চাউল চুরির ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন সহ ইউপি সদস্যরা। চেয়ারম্যান ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে সুকৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে চাউল চুরির মহোৎসব। চাউল চুরি সহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন চেয়ারম্যান খোকন। ২৫ আগস্ট ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ পান্ডব নদীর পাড়ে বেলা ১২ টায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তলনের সাথে চেয়ারম্যান জড়িত থাকায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। ১ সেপ্টেম্বর ভরপাশা ইউনিয়ন পরিষধে ভিজিডির ৩০ কেজি চাল বিতরণে নানা অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে। ১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন উপস্থিত থেকে চাল বিতরণ করলেও এক এক জন গ্রাহক জুলাই আগস্ট দুই মাসে ৬০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও চাল পেয়েছে ৫০ থেকে ৫২ কেজি। ৩ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী এক নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান বালতি ভড়ে তাদের ইচ্ছেমতো পরিমাপ ছাড়াই চাউল দেয়ায় আমরা চাউল ৭/৮ কেজি করে কম পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাউল বিতরণ করার সময় ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি ছাড়াই চাল বিতরণ করা হয়েছে। কার্ডধারী মাঝে চাল বিতরণ করা হয় ১০ টাকা কেজির চাল তবে ঐ সময় সাধারণ মানুষ হয়রানি মুখে পরে। চালের প্রতি বস্তা ৩০ কেজি থাকার কথা সেখানে তারা বস্তা সহ না দিয়ে বস্তা খুলে চাউল মেঝেতে ঢেলে তাদের ইচ্ছেমতো গ্রাম পুলিশ দ্বারা প্লাস্টিকের একটি বালতি দিয়ে প্রতি গ্রাহকের ব্যাগের মধ্যে ৬ বালতি চাউল দিয়ে দিচ্ছে। বালতিটি পুরাপুরি না ভরে পরিমাপ ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছেমতো চাল দিচ্ছে। চাল দেওয়ার সময় ওই স্থানে কোন পরিমাপের যন্ত্র দেখা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে পাটের তৈরি বস্তাগুলো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাউল মিলে বিক্রি করা হয়। কার্ডধারী লোক জন বলে আমারা কখনো সঠিক মাপে চাল পাইনি এখানে ৩০ কেজির চাল নিতে আসলে নানা কাহিনীত পরিতে হয়। তারা আরো বলেন চাল বিতরণ সময় ট্যাগ অফিসার কখনো থাকেনা। সরকার হতদরিদ্রদের ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে ৩০ কেজির চাল দেওয়া কথা থাকে, সেখানে চেয়ারম্যান এর লোক জন এর আত্মীয়-স্বজন প্রতি ঘরে ৩/৪ টি করে কার্ড দেখা যায়। ইউনিয়নের প্রায় হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারি কার্ডের ছোয়া মেলেনি। সব চেয়ারম্যান এর লোক জন হজম করেছে যে কয়েকটি কার্ড হতদরিদ্র পাইছে তাও চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের লোকজন। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের লোকজন মিলে দুর্নীতি ও অনিয়ম হরিলুট করছে। সাদু বেশে রয়েছে চেয়ারম্যান খোকন আরালে রয়েছে দুর্নীতি ছায়ায়। ট্যাগ অফিসার এর কাছে জানার জন্য ফোন দিনে ফোনটি রিছিপ করিনি। এর বিষয়ে পরিষধের সচিব কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা চেয়ারম্যান সাহেব জানেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সজল চন্দ্র শীল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন চাল বিতরণে অনিয়মের কোন অভিযোগ পাইনি। যদি অনিয়ম করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর আমি তো ট্যাগ অফিসারকে পরিষধে যেতে বলেছি। যদি সে পরিষধে উপস্থিত না থেকে চাউল বিতরন করা হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।