অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুর পৌর শহরের পুলিশ লায়ন্স সংলগ্ন জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সদর সাব রেজিস্ট্রার রুমে বিকেল ৪টার পরে কিছু লোকজন একত্রীত হয়ে হট্টগোল করছে। এমন সংবাদ শুনে জেলার কর্মরত দুই সাংবাদিক বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গিয়ে সেখানে দেখা যায়। হট্টগোল ও ধাক্কা ধাক্কির চলছে, ঐ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করে। এক পর্যায়ে দলিল লেখকদের কথিত নেতা তিতু মুন্সি ও দলবলের গালাগালি শুনিয়া পোনে ৫টার দিকে আজ আর দলিল স্বাক্ষর হবেনা বলিয়া সাবরেজিস্টার সাহেব তাহার খাসকামরায় চলিয়া যায়। ঘটনাটির সঠিক কারণ জানার জন্য আমি ও আমার সহকর্মী সাবরেজিস্টার রুমে ঢুকিয়া আমরা পরিচয় দিয়া ঘটনাটি জানিতে চাই। এরই মধ্যে দলিল লেখকদের কথিত সভাপতি তিতু মুন্সি অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের একটি দল নিয়ে সাবরেজিস্টার খাসকামরায় ঢুকে প্রথমে রুহুল নামের এক দলিল লেখককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে সাংবাদিক আজিজকে উদ্দেশ্য করে বলে তুই ভিডিও করছোস তোর খবর আছে বলে কয়েকটি গালাগাল ও দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি দেয়। তবে পরিচিত কিছু দলিল লেখক ও জেলা রেজিস্ট্রার আসলে ওখানেই হট্টগোল প্রথমে শেষ হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই আমি পরিচত এক দলিল লেখকের সহিত কথা বলিয়া বাহিরে আসার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী তিতু মুন্সি নেতৃত্বে হিমেল, লাবিব, ইয়াবা হাসান, সামিসহ ১৫/২০ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাংবাদিক আজিজকে লাঞ্ছিত করে। এসময় তার হাতে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ঐ সন্ত্রাসীরা। পরে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া এসে ঐ সাংবাদিকে উদ্ধার করে। এব্যাপারে সাংবাদিক আজিজ বাদী হয়ে সদর থানায় ঐ সন্ত্রাসীদের নামে অভিযোগ দিয়েছেন।
সাংবাদিক আজিজ বলেন, জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখকদের কথিত সভাপতির নেতৃত্বে বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী গোলমালে চেষ্টা করছে। তথ্যের কথা শুনে, আমি এবং বাংলাভিশন টিভি ও সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ফরিদ পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনে ঘটনার সততা যাচাই করার জন্য বুধবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে যাই। সদর সাব রেজিস্টার অফিস রুমে হট্টগোলের শব্দ শুনিয়া ভিতরে গিয়া আমি ও সাংবাদিক ফরিদ তথ্যের জন্য ক্যামেরা ও মোবাইলে ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করা শুরু করি। এর কিছুক্ষণ পরেই আমি পরিচত এক দলিল লেখকের সহিত কথা বলিয়া বাহিরে আসার সময় তিতু মুন্সির নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে আমার হাত থেকে ভিডিও ক্যামেরা ছিনাইয়া নিয়া যায়।আমাকে লাঞ্ছিত করে। আমার সহকর্মী ও আশেপাশের লোকজন আগাইয়া এসে ঐ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এ সময়ে উক্ত সন্ত্রাসীরা উচ্চে বাক্যে আমাকে প্রান নাশের হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এব্যাপারে সদর থানায় আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসনের কাছে আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসনে চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর প্রতিনিধি
তারিখ ০১/০৬/২৩