মাদারীপুরে সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।। (দুর্জয় আব্বাস মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি।) মাদারীপুরে সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে গ্রাম অঞ্চলে পাট থেকে আঁশ কাজে ব্যস্ত থাকেন কৃষকরা। গাছ পাট দীর্ঘদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা পঁচে যাওয়ার পর তা থেকে আঁশ পাট সংগ্রহ করে থাকেন কৃষকরা।
গত কয়েকদিনে মাদারীপুরে বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে দেখা যায়, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী-পুরুষ মিলে রাস্তার পাশে বসে কিংবা বাড়ির উঠোনে বসে গাছ পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করছেন।
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে যখন বর্ষার পানিতে খাল-বিল, ডোবা-নালা ভরে ওঠে সোনালী স্বপ্ন নিয়ে সোনালী আঁশ ঘরে তুলতে বেড়ে যায় কৃষক-কৃষাণীর ব্যস্ততা। প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমে মাদারীপুর নতুন পাট ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা। এখন চলছে পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডোবা ও বিলের পানির মধ্যে জাগ (পচাতে) দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন কৃষক। শুধু কৃষক নয় এলাকায় পাটকাঠির চাহিদা থাকায় কৃষকদের সঙ্গে প্রতিবেশিরাও আঁশ ছাড়িয়ে দিচ্ছে ইতোমধ্যে বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। দামও মোটামুটি । উপজেলার হাটে বিভিন্ন জাতের পাট বেচা-কেনা হচ্ছে।স্থানীয় পাট ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন জানান, এ বছর পাটের দাম মটামুটি। হয়তো কৃষক লাভের মুখ দেখতে পাবেন। ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশায় উপজেলার দুধ খালি ইউনিয়নের উত্তর দুধ খালি গ্রামের কৃষক তারা মিয়া চোখদার তিনি এ বছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। একই গ্রামের আব্দুল হাকিম তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন।এক সময় এ জেলায় প্রচুর পরিমাণে পাট চাষ করা হতো। এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাট ন্যায্য মূল্যে এ পাট ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতো। এ অঞ্চলের উৎপাদিত পাট স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে নারায়গঞ্জ ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জুট মিলে বিক্রয় হত। কিন্তু বর্তমানে পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখানে পাট চাষ কমে গেছে। তারপরও এলাকার কৃষকরা সোনালী আঁশের সুদিনের আশায় প্রতি বছর কিছু জমিতে পাট চাষ করে আসছ।