বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মাদারীপুর জেলা কমিটি গঠন শশীভুশনে পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখলের পায়তার শিরোনামের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা।। মাদারীপুরে তিতু মুন্সির সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিকের উপর হামলা!থানায় অভিযোগ  মাদারীপুরে চারতলা নতুন ভবনের এক তলা শুভ উদ্বোধন ভূমি অফিস কতৃক আয়োজিত ভূমিসেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন। সভাপতি শামীম, সম্পাদক রনি বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন মহেশখালীতে শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিলের আহবায়ক কমিটি গঠন; রাহমত উল্লাহ আহবায়ক, আজিজুর রহমান সদস্য সচিব নুরুল করিম নির্বাচন সামনে রেখে নাশকতার চেষ্টা করলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে’–শাজাহান খান গলাচিপায় পুকুরে চাষকৃত মাছ ধরার অভিযোগ দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার অনলাইন নিউজ পোটাল উদ্বোধন

র‍্যাবের ওপর হামলা: চনপাড়ার বজলু চেয়ারম্যান গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্কঃ

পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর হামলার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া একালার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বজলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তাকে চনপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে চনপাড়া একালার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বজলুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

র‍্যাব জানায়, গত ১০ নভেম্বর রাতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সিটি শাহীন নিহত হয়। সিটি শাহীনের সব অপকর্মের সেল্টারদাতা ছিলেন বজলু চেয়ারম্যান। এছাড়া র‍্যাবের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন বজলু।

সম্প্রতি চনপাড়া সরেজমিনে সাংবাদিকরা জানতে পারেন— নিহত সিটি শাহীনের একটি বড় অপরাধ বাহিনী রয়েছে এলাকায়। তিনি ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চনপাড়া মাদক নির্মূল কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। হামলা-নির্যাতনের ভয়ে শাহীন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস নেই কারও। প্রায় পঞ্চাশাধিক নারী, পুরুষ ও তরুণের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিকাংশই জাগো নিউজকে জানান, চনপাড়ায় হয় না এমন কোনো কিছু নেই। চনপাড়ায় রাতকে দিন আবার দিনকে রাত বানিয়ে দেওয়া যায়। এখানে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের নিয়ন্ত্রণে পুরো বস্তিবাসী। বস্তিতে কোনো অনুষ্ঠান করতে গেলেও লাগে প্রভাবশালীদের অনুমতি। তাদের কথা না শুনলে চলে নির্যাতন ও চাঁদাবাজি।

স্থানীয়রা জানায়— বজলু চেয়ারম্যানের ভয়ে চনপাড়ায় কারো মুখ খোলার সাহস নেই। বজলুসহ তার চার ভাই নিয়ন্ত্রণ করে পুরো চনপাড়া বস্তি। সঙ্গে রয়েছে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এসব অপরাধীরা দিনে-দুপুরে মাদক কারবারি, মারধর ও খুনসহ নানা অপরাধে জড়িত।

বস্তির লোকজন বজলু ও তার লোকদের বিষয়ে ভয়েও মুখ খোলে না। কথিত আছে— বজলুর কথা ছাড়া সেখানে পাতাও নড়ে না। তার নামে ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ানো হয় বস্তির শিশুদের। বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ খুনের জেরে আলোচনায় এসেছে চনপাড়া বস্তির নাম।

বজলুর নামে কেবল রূপগঞ্জ থানাতেই হত্যা, অস্ত্র, মাদকের মামলা মিলিয়ে ১২টি মামলা রয়েছে। অস্ত্র ও খুনের মামলায় একসময়ের জেলখাটা বজলু এখন নাম লিখিয়েছিলেন সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তির খাতায়।



ফেসবুক
ব্রেকিং নিউজ