শীর্তাতদের মাঝে রমনা থানা ছাত্রলীগের বেলিরোড ইউনিটের সভাপতি রাসেল’র কম্বল বিতরণ।


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১০, ২০২৩, ৫:৫১ অপরাহ্ন /
শীর্তাতদের মাঝে রমনা থানা ছাত্রলীগের বেলিরোড ইউনিটের সভাপতি রাসেল’র কম্বল বিতরণ।

শীর্তাতদের মাঝে রমনা থানা ছাত্রলীগের বেলিরোড ইউনিটের সভাপতি রাসেল’র কম্বল বিতরণ।

ঢাকা: কথায় আছে ‘কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ’। শীতকাল ধনীদের কাছে অনেক সুখকর সময় মনে হলেও দুস্থ অসহায় ‍মানুষের কাছে সর্বনাশই।

কারণ, শীতকাল এলেই ধনী বা মধ্যবিত্তরা মধ্যে বাহারি ডিজাইন ও নানা রঙের শীতের পোশাক কেনার ধুম পড়ে যায়। আর যাদের সামান্য একটি শীতের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের কাছে শীতকাল মানেই সর্বনাশ।

বরাবরের মতো এবারও এসব অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছে রমনা থানা ছাত্রলীগের বেলিরোড ইউনিটের সভাপতি রাসেল।

এরই অংশ হিসেবে সোমবার (০৯জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়।
রমনা থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে থেকে সুবিধাবঞ্চিত ‍পথশিশু ও অসহায় দুস্থ মানুষের হাতে কম্বল বিতরণ করেন বেলিরোড ইউনিটের সভাপতি রাসেল ভাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রমনা থানার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

রাজধানীর শান্তিবাগ মালিবাগ শান্তিনগর কাকরাইল অসহায় মানুষরা কম্বল পেয়ে নিজেদের অনুভুতি প্রকাশ করেন এভাবেই, ‘এই শীতে একমাত্র সম্বল আপনাদের কম্বল’।

৮০ বছরের বৃদ্ধ মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমি ভিক্ষা করি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন গলিতে গলিতে মানুষের কাছ থেকে যা পায় তাই নিয়ে চাল, ডাল কিনে কোনোমতে চলে’।

এই বৃদ্ধের ভাষায়, ‘কিতা করবো, ভিক্ষা না করলে খামু কি? একমাত্র ছেলে সে বিয়ে করার পর আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। এখন থাকি কড়াইল বস্তিতে। এই যে শীত যাচ্ছে কেউ একটা কাপড় দেয়নি। আজ এই কম্বলই এবারের শীতের একমাত্র সম্বল’।

তার মতোই রমনা থানা ছাত্রলীগের দেওয়া কম্বল গায়ে জড়িয়ে বিবি মরিয়ম (৭০) বলেন, ‘ভিক্ষা করি না সম্মানের ভয়ে। তাই পত্রিকা বিক্রি করি, খুব ভোরবেলায় হোসেন মার্কেট থেকে ২০০ পত্রিকা নিয়ে আসি। রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করি। তা দিয়ে যে টাকা আয় হয় শান্তিনগর মোড় বস্তিতে থাকি। এই বস্তিতে একরুমের জন্য ৩ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। কি করমু? সময় মতো ভাড়া না দিলে বস্তির সর্দার নানান কথা বলে, এমনকি বের করে দিতে চায়। তাই পত্রিকা বেচেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই’।

তাদের মতোই ‍রমনা থানা ছাত্রলীগের কম্বল পেয়ে নিজেদের আনন্দের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন নাছিমা খাতুন (৩০), আম্বিয়া খাতুন (৪৫), মর্জিনা বেগম (৩৫), ছোট্ট শিশু বিপ্লব (০৭), সবুজ, রায়হান আরো অনেকে।

প্রতি বছরের মতো দুস্থ ও শীতার্তদের সহায়তা করতে রমনা থানা ছাত্রলীগকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সবাই।

বিজ্ঞাপন

ব্রেকিং নিউজ