আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। শেখ হাসিনা যা বলে তা করে দেখান।
বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আইইবির সেমিনার কক্ষে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হানিফ। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ মধ্যে আয়ের দেশ নয় উন্নত বাংলাদেশের। শেখ হাসিনার দ্বারাই উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ নির্মাণ করা সম্ভব।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিদিনই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন। বিএনপির মহাসচিব সরকারের উন্নয়ন দেখে, এখন আর উন্নয়নের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছেন না। বিএনপির নেতারা আগে বলতো, উন্নয়ন কোথায় হয়েছে, উন্নয়ন নাই, কিছু নাই। এখন বড় বড় মেগা প্রকল্প, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা সমুদ্র বন্দর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, এগুলো দেখে আর বলতে পারছে না যে, উন্নয়ন হচ্ছে না। এখন তাদের বোল পাল্টে গেছে। এখন বলে বড় বড় প্রকল্পের নামে বড়-বড় দুর্নীতি হচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপির ভবিষ্যৎ নাকি তারেক রহমান। তিনি একজন দুর্নীতিবাজ, পলাতক, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাদের সরকারের সময় বিদ্যুৎ খাতে ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কি একটা ব্যখা দিয়েছিলেন তারেক রহমান তা দেশ বাসি দেখেছে। তার ব্যাখ্যা শুনে লজ্জায় মাথায় হেট হয়ে যায়। যে দল তারেক রহমানের মত নেতা নিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে, যাদের নূন্যতম মেধা নেই, এরা দেশের কি উন্নয়ন করবে?
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন শুধু বলে সরকার দুর্নীতি করছে। দুর্নীতির অভিযোগে তো বিএনপি’র শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দণ্ডিত। একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দণ্ডিত। আরেকজন তারেক রহমান হাওয়া ভবনকে খাওয়া ভবন বানিয়ে হাজার-হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। লুটের পয়সায় এখন লন্ডনে বসে আমোদ ফুর্তি করছে। উনার কাজ কি? ব্যবসা কি? আয়ের উৎসটা কি? বিএনপি’র আমলে দুর্নীতিতে বিশ্বে এক নম্বর ছিলো বাংলাদেশ সেকথা মানুষ ভুলে যায়নি।
হানিফ বলেন, মিথ্যার ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। সরকারের উন্নয়নের সুফল দেশের জনগণ পাচ্ছে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুজিববর্ষে শতভাগ পরিবারের বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু একটা স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তার রাজনৈতিক জীবনে শুরু থেকে এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে। জাতির পিতার স্বপ্নের একটি অংশ ছিলো স্বাধীন রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত আত্মমর্যাদাশীল জাতি। সেই উন্নত রাষ্ট্র গড়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর দক্ষতা ও বিচক্ষণতায় অত্যন্ত উঁচু মানের ছিলেন। যা সারা পৃথিবীর মধ্যে খুব বিরল ছিলো। তিনি রাজনৈতিক জীবনে কখনও কোনো হুট করে সিদ্ধান্ত নেননি। প্রত্যেকটা কর্মকান্ডেই অত্যন্ত দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার ফলেই স্বাধীন রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করতে পারছেন।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, বিএনপি সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিলো। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নে বিএনপি-জামায়াত, জঙ্গিজোট ভেসে যাবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটি ও আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিশেষজ্ঞ ও ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি ঢাকার শক্তির গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রকৌশলী শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরীসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর।