রফিকুল ইসলাম॥
সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে কচিং পরিচালনা করায় একাধিক কচিং সেন্টারকে জরিমানা করা হয়। গতকাল রবিবার (৭ মে) বিকেল ৪ টায় নগরীর বগুড়া রোডে সদর গার্লস স্কুলের সামনে কচিং সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময়ে কচিং সেন্টারের খোলা থাকায় ডেফোডিল কচিংসহ বিভিন্ন কচিং সেন্টারকে আর্থিক জরিমানা করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে কোন কোন কচিং সেন্টার ভিতরে ছাত্রছাত্রী রেখে বাহির থেকেই তালাবদ্ধ করে দেয়। কিন্তু বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দরজা খুলতে বাধ্য হন কচিং মালিকরা। এ সময় ডেফোডিল কচিং সেন্টারের স্বত্তাধিকারী নাহিদ আল বাসারকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় নিজেকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ডাক্তার পরিচয় দেন ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে এবং সে জানায় কচিং সেন্টারে পরিচালক। ডাক্তারি সনদ সহ যাবতীয় তথ্যাদি উপস্থাপন না করতে পারায় আটক করা হয় নাহিদ আল বাসারকে। পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় কাগজাদি দেখানোর পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষকদের দেওয়া হয় আর্থিক দন্ড এবং পরবর্তীতে সরকারি আইন অমান্য না করার প্রতিস্রুতি দেন। অভিভাবকদের কেউ কেউ জানান, বাচ্চাদের পরীক্ষার সিলেবাস শেষ না হওয়ায় পড়াচ্ছেন তারা। তাদের রিকোয়েস্টে কেউ কেউ কচিং সেন্টার খোলা রেখে পাঠদান করচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আনই অমান্য করে আমরা কিছুই করতে চাই না। কিন্তু সিলেবাস শেষ করতে না পাড়ায় পড়াতে হচ্ছে তবে পরবর্তীতে আর এইরূপ ভূল হবে না বলে জানান । প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করে কচিং সেন্টার খোলা রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি আদেশ অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা চলাকালিন সময় সব ধরনের কচিং সেন্টার বন্ধ থাকার ঘোষনা দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় এই আদেশ অমান্য করা হয়। তাই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আইন ভঙ্গ কারীদের আইনের আওতায় আনছি।