মাদারীপুর প্রতিনিধি:সাবেক স্বামীর হুমকি ধমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম আলীপুর গ্রামের বীর মুক্তিঝোদ্ধা সিরাজুল হকের মেয়ে ফাহিমা।
সাবেক স্বামী এনায়েত নগর গ্রামের মৃত লাল মিয়া মল্লিক এর ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন (৩৮) এই নারীকে নানাভাবে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে।
ফাহিমা বলেন, ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো। ইখতিয়ার উদ্দিনের সাথে বনাবনি না হওয়ায় ১০ বছরপূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বৈবাহিক আবস্থায় ওই সংসারে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। বড় ছেলের নাম ফাহাদ(১৮) ও ছোট ছেলের নাম ইয়াদ (১৬)। বিচ্ছেদের কিছু দিন পর ইখতিয়ার উদ্দিন তাঁর পিছু নেন। কারণে অকারণে তাকে বিরক্ত করতে থাকেন। দির্ঘদীন থেকে আমার স্বামী আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায়, এমনকি গত আনুমানিক ১০ মার্চ ২০১২ সালে ফাসিয়াতলা বজারে জনসমাগমের মধ্যে আমাকে কুপেিয় যখম কররা হয়। এবিষয়ে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ভিভিন্ন ভাবে আমাকে কু প্রস্তাব দেয়। আমি তাহার কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আমকে হুমকি দিয়ে বলে তোকে ও তোর ছেলেদেরকে মেরে ফেলবো। আমি তাহার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই রাতেই ছোট ছেলে ইয়াদকে ঘরের দরজা লাগিয়ে বেধম মারপিট করে ইখতিয়ার। পরে আমি ছেলেকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেই। এমনকি গত (৩১ ডিসেম্বর) ২০২১ ইং তারিখে আমার নিজ বাড়িতে এসে আমাকে যোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে এবং ধর্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় আমাকে হুমকি দিয়ে বলে এবিষয়ে যদি মুখ খুলিস তাহলে তুইসহ তোর ছেলেকে মেরে ফেবো। এবিষয়ে আমি মাদারীপুর বিজ্ঞ আদালতে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করি । এখানে ও সে ক্ষেন্ত হয়নি এমনকি আমার এনআইডি কার্ডে আমাকে মৃত বানিয়ে আমার অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা চালায় । ব্যাংকে আমার জমানো টাকার নমীনি আমি আমার ২ সন্তানকে করেছি, মূলত এই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই সাজানো নাটক করে আমার এনআইডিতে মৃত্যু বানিয়েছে ইখতিয়ার। আমাকে মৃত্যু প্রমান করতে পারলেই আমার ২ ছেলের মাধ্যমে সহজেই টাকাটা হাতিয়ে নিতে পারবে। আমি একজ মুক্তি যোদ্ধার সন্তান আমি জীবিত থেকেও আমাকে মৃত বানানে হয়েছে। এবিষয়ে আমি বিচারের দাবিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,কালকিনি অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। বর্তমানে আমাকে সাবেক স্বামী ইখতিয়ার উদ্দিন ও তাহার ভাই শাহাবুদ্দিন ও ফকরউদ্দিন ও ইখতিয়ারে দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া বেগম আমাকে হত্যা করার সড়যন্ত করতেছে । বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্বা হীনতায় ভূগতেছি। আমি স্বাধীন ভাবে বাচতে চাই আমি স্বাধীন ভাবে চলতে চাই। এবিষয়ে আমি মননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ট বিচারের দাবি জানাই।
এবিষয়ে ফাহিমার সাবেক স্বামী ইখতিয়ার উদ্দিনের কাছে যানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে বলেন, আমার সাবেক যে ওয়াইফ ছিলো তার সাথে আমার পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়া ঝামেলা হয় ১২ সালে তার সাথে আমার কোর্টের মাধ্যমে ছারাছারি হয়। আমার সন্তান ২টা আমি নিয়া আসি। আমাকে কমিশন নিয়োগ করছে ভোটার তালিকার জন্য তো সেখানে আমি কাজ করছি নতুন যারা ভোট করছে তাদের সেই সাথে যারা ছিলোনা বা মারা গেছে সেই হিসেবে একটা ফরম ছিলো ওই ফরমটায় আবার ৪ টা অপশন ছিলো তার মধ্যে একটা ঘর ছিলো এখানে সে ভোটার তালিকার সময় ছিলো কিন্তু এখন আর থাকেনা ওখানে আমি টিক দিছি, এটাতো বাস্তব সত্য আগে ছিলো এখন সে এখানে থাকেনা। আমি বলতে চাচ্ছি আমি তো তাকে মৃত্যু বলে টিক দেইনি।
এবিষয়ে মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, তিনি তাঁহার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন যদি না করে থাকেন।আর এর জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তিনি তাহার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।