মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩, ০২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মাদারীপুর জেলা কমিটি গঠন শশীভুশনে পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে দখলের পায়তার শিরোনামের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা।। মাদারীপুরে তিতু মুন্সির সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাংবাদিকের উপর হামলা!থানায় অভিযোগ  মাদারীপুরে চারতলা নতুন ভবনের এক তলা শুভ উদ্বোধন ভূমি অফিস কতৃক আয়োজিত ভূমিসেবা সপ্তাহের শুভ উদ্বোধন। সভাপতি শামীম, সম্পাদক রনি বিক্রমপুর টঙ্গীবাড়ী প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন মহেশখালীতে শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিলের আহবায়ক কমিটি গঠন; রাহমত উল্লাহ আহবায়ক, আজিজুর রহমান সদস্য সচিব নুরুল করিম নির্বাচন সামনে রেখে নাশকতার চেষ্টা করলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে’–শাজাহান খান গলাচিপায় পুকুরে চাষকৃত মাছ ধরার অভিযোগ দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার অনলাইন নিউজ পোটাল উদ্বোধন

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘষ।

মাদারীপুর শহরের সৈদারবালী – হাজির হাওলা নামক স্থানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে  শুক্রবার দুপুরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাঁচটি বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

আহতদের মধ্যে চার জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেনমতিউর রহমান হাওলাদারের ছেলে মিনহাজুর রহমান (১৬),সৈদারবালী এলাকার নাজিমউদ্দীন রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪১), মতিউর রহমান হাওলাদারের ছেলে মিনহাজুর রহমান (১৬) ২নং শকুনি এলাকার কাজী মাইনুদ্দিনের ছেলে আ. হাকিম (৫০), শামীম মুনশির ছেলে আসিফ মুনশি (১৩)। বাকিরা জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পৌর এলাকার সৈদারবালী ও ২নং শকুনি এলাকার কিশোরদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে সৈদারবালী এলাকার সেকেন হাওলাদারের ছেলে রোমান হাওলাদার শকুনি এলাকায় গেলে সাগর মুন্সী ও তার সহযোগীরা মারধর করে। ঘটনার কিছুদিন পরে শকুনি এলাকার তুষার হোসেন নামে এক কিশোর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়।

 

শুক্রবার সকালে শকুনি এলাকার সাগর মুন্সীর লোকজন হাসপাতালে তুষারকে দেখতে গেলে রোমানের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাগর মুন্সী ও রোমান হাওলাদারের সমর্থকরা সৈদারবালী এলাকার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে তিনজন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত হয় ১০ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থানীয় একটি মসজিদসহ পাঁচটি বসতঘরে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার রিয়াদ মাহামুদ বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ থেকে ৯ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন টেঁটাবিদ্ধ। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে বেশ কয়েকজন। আহতদের প্রত্যেকের শরীরে দেশীয় অস্ত্রে গুরতর জখম রয়েছে।’

 

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাহয়। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

 



ফেসবুক
ব্রেকিং নিউজ